রমজানের শিক্ষা, ঈদের প্রাপ্তি ও খেলাফতের নতুন সূর্যোদয়
জুলাই আগস্ট'১৪
রমজান পেরিয়ে ঈদুল ফিতর সমাগত। রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের বার্তাবাহী রমজান এসেছে সৌভাগ্যের বাহন হয়ে। সিয়াম সাধনার দীর্ঘ প্রশিক্ষণে মুমিন ব্যক্তিকে সমৃদ্ধ করতে। এটা স্রষ্টার নিকট সৃষ্টির সমর্পিত হওয়ার প্রশিক্ষণ। এই সমর্পণ যতটা গভীর ও মজবুত হয়, মানুষ তত সফল হয়। সফলতা আসে মানুষের জীবনে। এই সাফল্যের পুরস্কার হলো ঈদুল ফিতর। রমজানে সিয়ামের শিক্ষাটাকে কী পরিমাণ রপ্ত করতে পারল সে হিসেবেই ঈদুল ফিতরের আনন্দের হিস্সা লাভ হওয়ার কথা। কিন্তু আর দশটা ক্ষেত্রের মতো এখানেও আমাদের অবস্থা ‘উল্টা সামঝিলারে রাম’। রমজানের অর্জনের ভিত্তিতে আমরা ঈদের প্রাপ্তি নিতে চাই না; বরং ঈদের আনন্দের জন্য রমজানকে বিসর্জন দেয়ার আনন্দে মেতে উঠি। কিন্তু বুঝি না এবং বুঝতেও চাই না যে, প্রতিযোগিতা ও শিক্ষায় ভালো ফল না করে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানকে জমকালো করলে ব্যর্থ প্রতিযোগী ও শিক্ষার্থীর কপালে লাঞ্চনা ছাড়া কিছুই বৃদ্ধি পায় না। আল্লাহ আমাদের সুমতি দিন। রমজান বদর বিজয়েরও স্মৃতিবাহী। মিথ্যাকে পরাজিত করে সত্যকে সমুন্নত করার সংগ্রামী চেতনা বিলায় এ রমজান। রহস্যের ঘনঘটা যতই গভীর হোক, আশংকার মাত্রা যতই তীব্র হোক, বাতিলের কুহেলিকা ভেদ করে নতুন সূর্যোদয়ের পূর্বাভাস ছড়াচ্ছে আইএস ইসলামি এস্টেট। শত বর্ষের হৃতগৌরব মুসলিম উম্মাহর গর্বের ধন খেলাফত ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাকে তাই স্বাগত জানাই। আরব-আজম এক কাতারে দাঁড়িয়ে আবার খেলাফতের সোনলি ইতিহাস ফিরিয়ে আনবে এই ধূলির ধরায় এমন স্বপ্ন এখন বুকে পুষতেই পারে নির্যাতিত মুসলিম জাতি। আমরাও সমস্যা ও শঙ্কার চেয়ে সম্ভাবনার পাল্লাকেই ভারী করে দেখতে চাই। কবুল করো হে পরওয়ার দেগার। আমিন। রমজানের শিক্ষা, ঈদের প্রাপ্তি ও খেলাফতের নতুন সূর্যোদয়
রমজান পেরিয়ে ঈদুল ফিতর সমাগত। রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের বার্তাবাহী রমজান এসেছে সৌভাগ্যের বাহন হয়ে। সিয়াম সাধনার দীর্ঘ প্রশিক্ষণে মুমিন ব্যক্তিকে সমৃদ্ধ করতে। এটা স্রষ্টার নিকট সৃষ্টির সমর্পিত হওয়ার প্রশিক্ষণ। এই সমর্পণ যতটা গভীর ও মজবুত হয়, মানুষ তত সফল হয়। সফলতা আসে মানুষের জীবনে। এই সাফল্যের পুরস্কার হলো ঈদুল ফিতর। রমজানে সিয়ামের শিক্ষাটাকে কী পরিমাণ রপ্ত করতে পারল সে হিসেবেই ঈদুল ফিতরের আনন্দের হিস্সা লাভ হওয়ার কথা। কিন্তু আর দশটা ক্ষেত্রের মতো এখানেও আমাদের অবস্থা ‘উল্টা সামঝিলারে রাম’। রমজানের অর্জনের ভিত্তিতে আমরা ঈদের প্রাপ্তি নিতে চাই না; বরং ঈদের আনন্দের জন্য রমজানকে বিসর্জন দেয়ার আনন্দে মেতে উঠি। কিন্তু বুঝি না এবং বুঝতেও চাই না যে, প্রতিযোগিতা ও শিক্ষায় ভালো ফল না করে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানকে জমকালো করলে ব্যর্থ প্রতিযোগী ও শিক্ষার্থীর কপালে লাঞ্চনা ছাড়া কিছুই বৃদ্ধি পায় না। আল্লাহ আমাদের সুমতি দিন। রমজান বদর বিজয়েরও স্মৃতিবাহী। মিথ্যাকে পরাজিত করে সত্যকে সমুন্নত করার সংগ্রামী চেতনা বিলায় এ রমজান। রহস্যের ঘনঘটা যতই গভীর হোক, আশংকার মাত্রা যতই তীব্র হোক, বাতিলের কুহেলিকা ভেদ করে নতুন সূর্যোদয়ের পূর্বাভাস ছড়াচ্ছে আইএস ইসলামি এস্টেট। শত বর্ষের হৃতগৌরব মুসলিম উম্মাহর গর্বের ধন খেলাফত ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাকে তাই স্বাগত জানাই। আরব-আজম এক কাতারে দাঁড়িয়ে আবার খেলাফতের সোনলি ইতিহাস ফিরিয়ে আনবে এই ধূলির ধরায় এমন স্বপ্ন এখন বুকে পুষতেই পারে নির্যাতিত মুসলিম জাতি। আমরাও সমস্যা ও শঙ্কার চেয়ে সম্ভাবনার পাল্লাকেই ভারী করে দেখতে চাই। কবুল করো হে পরওয়ার দেগার। আমিন।
000000000
সত্য ও ন্যায়ের দারাজকণ্ঠ মিম্বরকে স্তব্ধ করতে চায় ওরা কারা
জুন'১৪
মসজিদের মিম্বর নবুওয়াতের উত্তরাধিকার। এটা কোনো ক্ষমতার মসনদ নয়। দ্বীনে হকের মহান জিম্মাদারির মসনদ। এই সেই মসনদ যেখানে বসে নবী রাসুলগণ মানুষের মাঝে জ্বালিয়েছেন আলোর মশাল। পূর্বসূরি ওলামায়ে উম্মত দেখিয়েছেন হেদায়াতের পথ। সেই পথ ধরে আজও হক্কানি ওলামায়ে কেরাম চির সত্যের শাশ্বত পয়গাম জাতির কাছে তুলে ধরেন নবুওয়াতের উত্তরাধিকার মিম্বর নামক এই মসনদে বসেই। অসত্য ও অন্ধকারের কুহেলিকা ভেদ করে সত্যের আলোকরশ্মি ছড়িয়ে দিতে মিম্বরের ভূমিকা অসামান্য। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে সত্য ও ন্যায়ের পথিকৃৎ এই সুমহান মসনদ, এটাই তো স্বাভাবিক। অন্যায়ের প্রতিবাদ না হলে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা হবে কেমনে? ‘আমর বিল মারুফ’ ও ‘নাহি আনিল মুনকার’ তো আল্লাহর দ্বীনের অপরিহার্য অংশ। ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ করতে মসজিদের মিম্বরগুলো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এটাই জাতির প্রত্যাশা। সমাজের সকল ক্ষেত্র যখন অন্যায়ের স্রোতে ভাসমান, জাহেলিয়াতের ধ্বজাধারি সমাজপতিরা যখন অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা, বুদ্ধিজীবী নামক পরজীবী গোষ্ঠি যখন মাথাবন্ধক রেখেছে অন্যায়কারীদের কাছে, আর রাজনীতিক শ্রেণি তো অন্যায় অবিচারের প্রতিশব্দে পরিণত।
এহেন প্রেক্ষিতে ন্যায় ও সত্যের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল মিম্বরগুলোর দারাজকণ্ঠ স্তব্ধ করার পায়তারা করতে শুরু করবে অন্যায়ের বরপুত্ররা- এটাও অস্বাভাবিক নয়। সেই স্বাভাবিকতার ধ্বনীই আমরা সাম্প্রতিক সময়ে শুনতে পেয়েছি ইসলাম বিদ্বেষী চিহ্নিত গোষ্ঠির মুখে। নিশ্চয় এটি সত্য ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস। তাই এখনই সজাগ হতে হবে। সচেতন থাকতে হবে কল্যাণ ও ন্যায়ের পক্ষের সকলকে। ‘সুবহে সাদিক’ সবাইকে সেই আহ্বান জানাচ্ছে।
হে আল্লাহ! রহমতের বৃষ্টিতে শীতল করো বাংলার জমিন
মে'১৪
চৈত্র্য পেরিয়ে বৈশাখেরও বিদায় ঘণ্টা বাজছে। কিন্তু গরমের তাপদাহ যেন বেড়েই চলছে। গরমে নাভিশ্বাস উঠে গেছে মানুষের। সারাদেশে চলছে বৃষ্টির জন্য হাহাকার। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে গরম পড়ে, এটা স্বাভাবিক। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে মানুষের জীবনে হা-পিত্যেষ ওঠে যায় এটাও স্বাভাবিক। অবিশ্বাসীদের চোখে এখানে প্রকৃতির স্বাভাবিকতা ছাড়া আর কোনো কিছুর কার্যকারিতা দৃষ্টিগোচর হয় না। তবে যারা বিশ্বাসী ও ঈমানদার তারা জানে, প্রকৃতি বা ফিতরত সৃষ্টিকর্তারই এক নিয়ম। তবে তা অলংঘনীয় নয়। প্রকৃতি চলে তার স্বাভাবিক গতিতে। স্রষ্টারই ইশারায়। আবার কখনো সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ ছন্দপতন ঘটান প্রকৃতির স্বাভাবিক গতিতে। আল-কোরআনুলকারিম তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ- ‘আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে প্রচণ্ডগতির বাতাস দিয়ে যা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের অবাধ্য হয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।’ {সুরা আল হাক্কাহ} সুতরাং ঈমানদার শুধু বস্তুবাদী চিন্তার উপর ক্ষান্ত থাকতে পারে না। ঈমানদারকে উপলব্ধি করতে হয় পবিত্র কোরআনের দর্শনÑ ‘জলে-স্থলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয় মানুষের কৃতকর্মের ফলে।’ {সুরা রূম} আর তাই বিশ্বাসী ঈমানদার অনুভব করে অনাবৃষ্টি, প্রচণ্ড খরা আর গরমের তীব্রতা আমার পাপের ফসল। সুতরাং আমাকে তওবা করতে হবে। আমার কারণে সকল সৃষ্টি জগতের কষ্ট হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তা মালিক রাব্বুল আলামিন চাইলে পাথরে ফুল ফোটাতে পারেন। তার কাছে বৃষ্টি চাইতে হবে। তিনি ইচ্ছা করলে মুহূর্তেই রহমতের বৃষ্টি জনজীবনে বুলিয়ে দিতে পারে শান্তির পরশ। শীতল হয়ে ওঠবে প্রকৃতি। অনাবৃষ্টির খরা মৌসুমে নবীদের সুন্নত হচ্ছে ‘ইস্তিস্কা’ করা। অর্থাৎ রহমান রহিম আল্লাহর নিকট রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করা। প্রয়োজনে ‘সালাতুল ইস্তিস্কা’ আদায় করা। ইতোমধ্যে আলেম ওলামা ও ইমাম সাহেবান তা শুরু করে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ! রহমতের ছায়াও নামছে। এধারা অব্যাহত রাখতে হবে। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার রহমতের বৃষ্টি দ্বারা সিক্ত করো। এমন বৃষ্টি যা বড় বড় ফোঁটায় পড়বে। যা আমাদের তৃষ্ণা নিবারণ করবে। যা আমাদের মাটিতে ফল-ফসল ফলাবে। যা আমাদের জন্য উপকারী হবে, কোনো ক্ষতির কারণ হবে না।
শেষ হলো পাঁচ ধাপের উপজেলা নির্বাচন
এপ্রিল'১৪
এ নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত চারধাপে নির্বাচনের পর্যায়ক্রমে জাতীয় প্রচার মাধ্যমের সংবাদ সূত্রে দেখা যায় নির্বাচনে কারচুপি, প্রহসন ও সহিংসতা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে শাসক দলের ফলাফলও ক্রমান্নয়ে উন্নতির দিকে। এতে স্পষ্টতই প্রতিয়মান হয় যে, শাসক দল পর্যায়ক্রমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। নিয়ন্ত্রন করেছে এবং ফলাফল নিজেদের অনুকুলে নেয়ার বন্দোবস্ত করেছে। এতে আরও একবার প্রমাণিত হলো বিগত নবম জাতিয় সংসদ নির্বাচনে সকলে মিলে শাসকদলের অধিনে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে যে সংশয় প্রকাশ করেছিল তা ছিল বাস্তবসম্মত। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ জনগণ জাতিয় সংসদ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের এই চিন্তা বংলাদেশের প্রায় সকল ইসলামপন্থী দলের সিদ্ধান্তেও প্রতিফলিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের পরেই আবার নতুন করে জাতীয় নির্বাচনের দাবি উত্থাপিত হবে। বিরোধী দলের আন্দোলন চাঙ্গা হবে, এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকেও নতুন নির্বাচনের দাবি উত্থাপিত হবে, এমনটিই আশা করছে দেশের বোদ্ধা মহল। এতে করে সরকারের বোধদয় হবে, সংলাপের মাধ্যমে একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাবে। প্রহসনের নয় বরং সহিংসতামুক্ত, সর্বজনীন এবং সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার নির্বাচিত হবে। এক্ষেত্রে ইসলামপন্থীদের বর্তমান ভূমিকার প্রেক্ষিতে তারাও একটি সত্য ও সুচিন্তিত বলিষ্ঠ মতামত নিয়ে ময়দানে ভূমিকা পালন করবে রাহমানী পয়গাম এমনিই প্রত্যাশা করে।
০০০০০০০
সত্য ও ন্যায়ের দারাজকণ্ঠ মিম্বরকে স্তব্ধ করতে চায় ওরা কারা
মার্চ'১৪ মসজিদের মিম্বর নবুওয়াতের উত্তরাধিকার। এটা কোনো ক্ষমতার মসনদ নয়। দ্বীনে হকের মহান জিম্মাদারির মসনদ। এই সেই মসনদ যেখানে বসে নবী রাসুলগণ মানুষের মাঝে জ্বালিয়েছেন আলোর মশাল। পূর্বসূরি ওলামায়ে উম্মত দেখিয়েছেন হেদায়াতের পথ। সেই পথ ধরে আজও হক্কানি ওলামায়ে কেরাম চির সত্যের শাশ্বত পয়গাম জাতির কাছে তুলে ধরেন নবুওয়াতের উত্তরাধিকার মিম্বর নামক এই মসনদে বসেই। অসত্য ও অন্ধকারের কুহেলিকা ভেদ করে সত্যের আলোকরশ্মি ছড়িয়ে দিতে মিম্বরের ভূমিকা অসামান্য। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে সত্য ও ন্যায়ের পথিকৃৎ এই সুমহান মসনদ, এটাই তো স্বাভাবিক। অন্যায়ের প্রতিবাদ না হলে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা হবে কেমনে? ‘আমর বিল মারুফ’ ও ‘নাহি আনিল মুনকার’ তো আল্লাহর দ্বীনের অপরিহার্য অংশ। ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ করতে মসজিদের মিম্বরগুলো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এটাই জাতির প্রত্যাশা। সমাজের সকল ক্ষেত্র যখন অন্যায়ের স্রোতে ভাসমান, জাহেলিয়াতের ধ্বজাধারি সমাজপতিরা যখন অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা, বুদ্ধিজীবী নামক পরজীবী গোষ্ঠি যখন মাথাবন্ধক রেখেছে অন্যায়কারীদের কাছে, আর রাজনীতিক শ্রেণি তো অন্যায় অবিচারের প্রতিশব্দে পরিণত। এহেন প্রেক্ষিতে ন্যায় ও সত্যের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল মিম্বরগুলোর দারাজকণ্ঠ স্তব্ধ করার পায়তারা করতে শুরু করবে অন্যায়ের বরপুত্ররা- এটাও অস্বাভাবিক নয়। সেই স্বাভাবিকতার ধ্বনীই আমরা সাম্প্রতিক সময়ে শুনতে পেয়েছি ইসলাম বিদ্বেষী চিি ত গোষ্ঠির মুখে। নিশ্চয় এটি সত্য ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস। তাই এখনই সজাগ হতে হবে। সচেতন থাকতে হবে কল্যাণ ও ন্যায়ের পক্ষের সকলকে। রাহমানী পয়গাম সবাইকে সেই আহ্বান জানাচ্ছে।
*********** ফেব্রুয়ারি'১৪ নজিরবিহীন তামাশার নির্বাচনে ১০ম জাতীয় সংসদ ও সরকার গঠনের পর শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাষের পালা। গণ-ভিত্তিহীন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনহীন বিতর্কিত এই সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েই এখন যত জল্পনা-কল্পনা। ৬ই মে হেফাজতে ইসলামকে শাপলাচত্বর থেকে হটিয়ে দেওয়ার পর সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের মুখে যেমন একটা তৃপ্তির হাসি দেখা গিয়েছিল, নতুন সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ গঠনের পরও নতুন সরকারের মুখে নতুন চাঁদের মত বাঁকা একটা হাসির ঝিলিক লক্ষ করা গেছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি যখন উৎফুল্ল থাকেন তার মুখমণ্ডলের রূপ-লাবণ্য আর হাস্যোজ্জ্বলতা যেন ঠিকরে পড়ে। ইদানিং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীদের চোখেমুখে সেই সুখ আর তৃপ্তির ভাব দেখা যাচ্ছে। যদিও সরকার ভালো করেই বুঝছে, প্রহসনমূলক যে নির্বাচনে তারা ক্ষমতার মসনদে বসেছেন তা কতটা দুর্বল ও ভঙ্গুর। সামান্য নাড়া লাগলেই তা খসে পড়বে। আর তাই এই দুর্বলতাকে ট্যাকল করার জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সে প্রেক্ষিতেই সরকারকে এতটা নির্ভার লাগছে। বোদ্ধামহলের ধারণা, সরকার এক্ষেত্রে বড়ই বিপদজনক পথে পা বাড়িয়েছে। সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতারোহণের পেছনে স্পষ্টতই মুখ্যভূমিকা রেখেছে তাদের একমাত্র আস্থার প্রতীক ভারত। ভারতের নির্লজ্জ ও একপেশে ভূমিকাই বর্তমান সরকারের জন্য দ্বিতীয়মেয়াদে ক্ষমতারোহণের পথ সুগম করে দিয়েছে। তাই সরকার একমাত্র ভারতকে আস্থায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এটা স্বাধীন মাথাউঁচু বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যতে বিপদের কারণ হতে পারে। দীর্ঘদিনের বৈরী ভারত বাংলাদেশের প্রতিটি আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গালানোর সুযোগ পাবে। সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে নানা অজুহাতে বিরোধীপক্ষকে ঘায়েল করার লক্ষ্যে অত্যন্ত সুকৌশলে সংখালঘু ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছে। এটি আওয়ামীলীগের অনেক পুরোনো ঘুটি। বেশ অনেকবার তারা এ ঘুটি চালিয়েছে। দেশের জনগণ ব্যাপারটা ধরেও ফেলেছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে বেনিফিশিয়ারি কারা এটা বুঝার জন্য খুব বেশি বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আশঙ্কার কথা হলো, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার যেই রাষ্ট্রীয় অপতৎপরতা শুরু হয়েছে এর পরিণাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। রাষ্ট্রের কর্ণধারগণ ক্ষমতার মোহে অন্ধ না হয়ে বিষয়টি বিবেচনায় নিলে জাতি একটি অনিবার্য বিপর্যয় থেকে মুক্তিপেতে পারে। একদলীয় তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের আরেকটি ভয়াবহ পদক্ষেপ হলো, রাষ্ট্রের আইন, শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারদের মতো ব্যবহার করা। সরকারবিরোধী আন্দোলন দমন করার উদ্দেশ্যে বিরোধীদলীয় তৎপর নেতা-কর্মীদেরকে যেভাবে ব্যাপকহারে গুম ও বন্দুকযুদ্ধের নামে যৌথবাহিনীর মাধ্যমে খুন করা হচ্ছে, এতে বাংলাদেশের রাজনীতি এক ভয়ঙ্কর যুগে প্রবেশ করছে। সরকারদলের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও এতে উদ্বিগ্ন। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতির অতীত ইতিহাস হলো, কোনো অশুভ ধারা একবার শুরু হলে আর তা বন্ধ হওয়ার নাম থাকে না। ইতোপূর্বেও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে তবে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছিল এমন দাবি তখনকার বিরোধী পক্ষও উত্থাপন করেনি। কিন্তু এবার তা শুরু হলো। এতে বাংলাদেশের রাজনীতি আরও অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি ভেবে থাকে যে কেয়ামত পযর্ন্ত তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হবে না, তবে তারা ইতিহাস বিষয়ে মূর্খ বলে প্রতীয়মান হবে। তাই অহ্বান থাকবে, এই আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন। আগুন নিয়ে খেলার পরিণাম কারো জন্যই কখনো শুভ হয় না।